ঢাকা , সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ , ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​আচরণবিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত

ফেসবুক-ইউটিউবে নির্বাচনী প্রচারে লাগবে অনুমতি

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ৩০-০৬-২০২৫ ০৫:৪০:১০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ৩০-০৬-২০২৫ ০৮:৪২:২২ অপরাহ্ন
ফেসবুক-ইউটিউবে নির্বাচনী প্রচারে লাগবে অনুমতি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচারণা পরিচালনায় প্রথমবারের মতো আচরণবিধিতে বিস্তারিত নিয়ম যুক্ত করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এ উদ্দেশ্যে ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা-২০২৫’ শীর্ষক একটি খসড়া চূড়ান্ত করেছে ইসি, যেখানে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে ফেসবুক, ইউটিউবসহ ব্যবহারযোগ্য মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট নাম, আইডি, ই-মেইল ঠিকানা ও অন্যান্য শনাক্তকরণ তথ্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিলের কথা বলা হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিশন জানায়, খসড়াটি ইসির ওয়েবসাইট (www.ecs.gov.bd)-এ প্রকাশ করা হয়েছে। নাগরিকদের মতামত আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে opinion@ecs.gov.bd-তে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

খসড়া আচরণবিধির (ক) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো প্রার্থী, তার এজেন্ট বা সংশ্লিষ্ট কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার চালাতে চাইলে তাকে অবশ্যই মাধ্যমের নাম, অ্যাকাউন্ট আইডি, ই-মেইলসহ প্রয়োজনীয় তথ্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করতে হবে প্রচার শুরুর পূর্বে।’

‘ক্ষতিকর কনটেন্ট’-এর বিষয়ে নতুন বিধিতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে—

১. ঘৃণাত্মক বক্তব্য, মিথ্যা তথ্য বা বানোয়াট নির্বাচনী তথ্য প্রচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

২. প্রতিপক্ষ, সংখ্যালঘু বা অন্য কোনো গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ও ব্যক্তিগত আক্রমণমূলক বক্তব্য নিষিদ্ধ।

৩. ধর্মীয় ও জাতিগত অনুভূতির অপব্যবহার করে ভোট চাওয়াও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

‘ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য’ সংক্রান্ত ধারায় বলা হয়েছে—

সামাজিক মাধ্যমে নির্বাচনসংক্রান্ত যেকোনো কনটেন্ট প্রকাশের আগে সত্যতা যাচাই (ফ্যাক্ট-চেক) করতে হবে। বিভ্রান্তিকর এডিট করা ভিডিও, মিথ্যা সংবাদ বা পক্ষপাতমূলক প্রচার বন্ধে কঠোর নজরদারির সুপারিশ করা হয়েছে।

কমিশন জানিয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (RPO) ১৯৭২-এর সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ সংশোধনের পর এই আচরণবিধি কার্যকর হবে। এর আগে নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন মনে করছে, ডিজিটাল যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রাজনৈতিক প্রচারে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হওয়ায় নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু ও সমতাভিত্তিক রাখতে এই ধরনের বিধিনিষেধ অপরিহার্য।

বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ